একজন ভালোবাসাভরা মানুষের বিদায়

 সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম চলে গেলেন। চলে গেলেন আক্ষরিক অর্থেই অকালে। এই যুগে ৭৪ বছর কি বিদায় বলার মতো কোনো বয়স?

এক সপ্তাহ আগে, ৩ অক্টোবর, সৈয়দ মনজুরের যখন হার্ট অ্যাটাক হলো, তখন দেশে তিনি কার্যত একা। তাঁর একমাত্র ছেলে সাফাকাত ইসলাম বহুদিন আগেই প্রবাসে সংসার পেতেছেন। স্ত্রী সানজীদা ইসলামও অল্প কয়েক দিন হলো বিদেশে গেছেন, ছেলের সান্নিধ্যে। কিন্তু সৈয়দ মনজুর মানুষটাই এমন যে এই শহরে এবং শহরের বাইরে তাঁর শুভার্থীর শেষ নেই।

গাড়িতে করে যাওয়ার পথে তাঁর তীব্র হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। সেই ধাক্কায় সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেছিলেন। কিছুক্ষণ পরে চেতনা ফিরতেই ফোনটা খুলে কোনোমতে তাঁর ড্রাইভারের হাতে দিতে পেরেছিলেন তিনি। বলেছিলেন তাঁর কয়েকজন শুভার্থীকে খবর দিতে। ব্যস, এই শুভার্থীরাই তাঁর চিকিৎসা আর পরিচর্যার সব ভার নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলেন। পরের একটি সপ্তাহজুড়ে এঁদের অক্লান্ত সেবা আর যত্ন কোরকের মধ্যে অস্ফুট কুঁড়ির মতো তাঁকে আবৃত করে রেখেছিল। কিন্তু তাঁকে কোনোভাবেই ধরে রাখা গেল না।

Post a Comment

Previous Post Next Post